স্বদেশ ডেস্ক:
জুলাই-আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এসব মামলার বিষয়ে এবং শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘সাহস থাকলে তিনি দেশে এসে মামলা মোকাবিলা করবেন।’
আজ রবিবার সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল করে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের রিভিউ নিষ্পত্তির পর এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনাসহ তার দলের অনেক নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে তাদের দেশে আনার প্রক্রিয়াটি কি হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘প্রথম কথা হলো এটা এখনো অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের বিষয় না। তবে আইন যদি বলে, আমি যতটুকু বুঝি- একটা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হয়েছে। এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল করতে শেখ হাসিনা কোথায় আছেন, সেটা যদি নিশ্চিত হওয়া যায় তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আইন অনুযায়ী ফেরানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। আরেকটি অপশন আছে, সেটা হচ্ছে ইন্টারপোলের মাধ্যমে। এটা হচ্ছে রাষ্ট্রীয়ভাবে।’
‘তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কথা যেহেতু বলেছেন। তার নিজের বক্তব্য আপনারা বিশ্লেষণ করবেন। সাহস থাকলে বাংলাদেশে এসে আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে বিচারের মুখোমুখি হন। আশা করি উনি এটা বিশ্বাস করেন এবং এটা ওনার জন্য ভালো হবে।’ যোগ করেন তিনি।
এদিন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল করে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের রিভিউ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা ফিরল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে।
বিচারপতিদের অপসারণে সংসদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ করে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।